Friday, August 23, 2019

গল্প লেখার গল্প... / বাংলা সুশীল গল্প / বাংলা সামাজিক গল্প।

গল্প লেখার গল্প.....

লাল, নীল, হলুদ, সবুজ...নানা রঙ বেরঙ্গের স্মৃতির ভারে ভরা ঝাঁপীটা মাঝে মাঝেই একটু আধটু ঝাঁকি দেয়, নড়া চড়া করে। এলে বেলে স্মৃতিরা, আধা খেচরা গপ্পেরা সব জমা ওখানে।

ওই স্মৃতিদের, গপ্পদের, বেশ ঝাঁপীর বাইরে বেড়িয়ে একটু এদিক সেদিক যাওয়া, এর তার সাথে গল্প করার, বা চা বিস্কিট খাবার খায়েশ হয়। কিন্তু সে ইচ্ছে অঙ্কুরেই বিনষ্ট, সাজার জন্য কিছুই যে নেই! আরে না না, জামা জুতো চুড়ি ফিতে ওসব নয়! শব্দ, বাক্য এগুলো আর কি; যা দরকার ওদের।

বেরু করবার সময়, কোথায় যে পালিয়ে যান উনারা; মানে শব্দ, বাক্য এরা। পেটে বোম মারলেও বেরোয় না। বা কখনো কখনো বেড়িয়ে এলেও, হরতাল করে বসে থাকেন, কিছুতেই জায়গামতো বসবেনা। আরে হাতে হাত রেখে একটু মানব বন্ধন, থুক্কু শব্দ বন্ধন করলে যেন সব উল্টো হয়ে যাবে! এলোপাথাড়ি সব দাঁড়িয়ে থাকে, আবার দুষ্টু দুষ্টু পিত্তি জ্বালানো হাসি। কি যে ঝামেলা! মনে হয় দেই ধরে একটা! ধমক দিলেই হয়েছে, তখন শুরু হয় টুকি দেয়ার খেলা। এই এলোতো এই গেলো, এক শব্দকে বসাতে না বসাতে অন্যজন হাওয়া! কোথায়? কে জানে?

তবে অক্ষরেরাও কম জ্বালায় না! এখানে কি র না ড়, ন হবে না ণ, কি আর কী তো আছেই, ইকার নাকি ঈকার, উকার নাকি ঊকার, আর যুক্ত বর্নের কথা না বলাই ভাল, যাবতীয় নখড়া (কেজানে এই ইনার বানানটা ঠিক হয়েছে কিন?)!!

কোনরকমে কিছু বাক্যকে একসাথে দাঁড় করিয়ে, একটু দূর থেকে তাকালেই বোঝা যায়,- যা হয়েছে না! হাতের জায়গায় মাথা, মাথার জায়গায় পা...বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা । হেঁইয়ো, হেঁইয়ো বলে এখান থেকে ওখান, ওখান থেকে সেখানে...বাক্যদের সরানো শুরু। তখন কিছু কিছু শব্দও বলতে শুরু করে, কেমন কেমন লাগছে বদলে দাও প্লীজ। হু, হু প্লীজও বলে মাঝে মাঝে।

এই কুস্তি করতে, এই স্মৃতি আর গপ্পোদের জামা বানাতে, অলংকার বানাতে এত সময় লাগে এত ক্লান্ত হয়ে পড়ি, ওদের আর বাইরে বেড় হওয়া হয়না। ঘুপচি মেরে বসেই থাকে ঐ ঝাঁপীতে।

আমার গল্প লেখার গল্পটি ফুরালো, নটে গাছটি মুড়োলো। হবে গল্প লেখা অন্য কোনদিন!

credit goes to : Mrs Zohora Khat..  

No comments:

Post a Comment